ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি গ্রাম ঘাঙ্গারিয়ার কোলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি গ্রাম ঘাঙ্গারিয়ার কোলে ঘাঙ্গারিয়া গ্রাম।

ভ্যালি অব ফ্লাওয়ারস ও শিখদের একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান হেমকুণ্ড। সেখানে যাওয়ার বেসক্যাম্প হিসেবে পরিচিত ছোট্ট একটি গ্রাম ঘাঙ্গারিয়া। অবস্থান ভারতের পাহাড় অধ্যুষিত উত্তরাখণ্ডে। ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ গ্রাম। ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় নিকটবর্তী গ্রাম গোবিন্দঘাট থেকে ১০ কিলোমিটার ট্রেকিং করে এসে সবাই বিশ্রাম করে গ্রামটিতে। যদিও ঘোড়া কিংবা হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

ট্রেকিং রুটটি বেশ সুন্দর! একপাশে বিশাল খাঁদের নিচে পুষ্পাওয়াতি নদী, অন্যপাশে পাহাড়। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ঝরনা! এক মনোরম পরিবেশ, যা হেলিকপ্টার দিয়ে গেলে বোঝা দুষ্কর।

গ্রামে ঢুকতেই প্রথমে পড়বে বিশাল পাইন বন। চিতা, কালো ভাল্লুকসহ নানা প্রাণীর ভয় থেকেই যায় এ অঞ্চলটিতে। তাই দুপুর ২টার পর গোবিন্দঘাট থেকে বেসক্যাম্পে আসা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

ঘাঙ্গারিয়া গ্রাম।  গ্রামের প্রথমেই বামদিকে পড়বে হেলিপ্যাড, তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা। যেখানে পাশের ঝরনার শব্দের সঙ্গে ঘুমাতে পারবেন স্বপ্নিলভাবে। কিছুদূর উঠলেই ছোট ছোট দোতলা বাড়ির দেখা পাওয়া যায়। অধিকাংশই হোটেল। অনেক কম খরচেই থাকা যায় হোটেলগুলোতে, অবশ্যই দামাদামি ও রুম দেখে ওঠা উচিত। সারাবছর প্রচুর দর্শনার্থী থাকায় ছোট্ট একটি মেডিক্যাল সেন্টার, পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে গ্রামে।

ঘাঙ্গারিয়া গ্রাম।  খাওয়া-দাওয়ার জন্য খুব ভালো জায়গা মনে হয়েছে আসার পথের অন্য জায়গাগুলোর তুলনায়। অনেক বিদেশি পর্যটক থাকায় পাওয়া যায় অনেক ভালো ভালো খাবার। ১৩০ রুপির ফ্রাইড রাইস দিয়ে অনায়াসে দু’জন খাওয়া যায়, খিচুড়ির কথা আর নাই বা বললাম! খুবই মজার সব খাবার নিয়ে অপেক্ষায় থাকে ঘাঙ্গারিয়াবাসী।

ছোট্ট গলির মাঝে দিয়েই চলে যাওয়া যায় গ্রামের অন্য প্রান্তে। যার শেষ সীমানার বামেরে পথটি চলে যায় ভ্যালি অব ফ্লাওয়ারসের দিকে এবং সোজা উপরের দিকে চলে যায় হেমকুণ্ডের দিক। নিরিবিলি গ্রামটা আসলেই খুব মনে রাখার মতো। ঘাঙ্গারিয়া গ্রাম।

যখন সারা ভারত তাপদাহে পুড়তে থাকে, তখন এই গ্রামে ৫০ রুপি দিয়ে গরম পানি কিনে গোসল কিংবা অন্য কাজ করা লাগে। শীতকালের কথা আর নাই বা বললাম। শীতকালের অধিকাংশ সময়ই পুরো গ্রাম বরফের নিচে থাকে।

সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি গ্রাম এই ঘাঙ্গারিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।