ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী নেতৃত্বে বৈশ্বিক সংকট দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা সক্ষম হবো।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে খাদ্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য মাটির স্বাস্থ্য ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা আবশ্যক। বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় কৃষিই অন্যতম প্রধান নিয়ামক। কৃষি জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ, কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়।
কৃষি খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের মাঝে খাসজমি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মাটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, সুষ্ঠু মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার জন্য মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা ও পাহাড়ি এলাকায় স্বতন্ত্র দুটি গবেষণা কেন্দ্রসহ সারা দেশে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব গবেষণাকেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মৃত্তিকা দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে’। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬, ডিসেম্বর ৫, ২০২২
এনবি/আরএইচ