ঢাকা: এগারো বছরে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার একর। ২০০৮ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল এক কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর জমি।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ জরিপ প্রকাশ করা হয়। জরিপ উপস্থাপন করেন জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ।
তিনি বলেন, দেশে সাধারণ খানার সংখ্যার তুলনায় কৃষি খানার হার বৃদ্ধি কম। দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। যার মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর। এছাড়া স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।
মোট কৃষি খানার চিত্র তুলে ধরে আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ২০০৯ সালে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার; ২০০৮ সালে সংখ্যা ছিল এক কোটি ৫১লাখ ৮৩ হাজার। এ হিসাবে খানার সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে কৃষি জমিতে ফসলের নিবিড়তা বেড়েছে। আগে ছিল ১৭৩, ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে ২১৪। এই নিবড়িতা বৃদ্ধির কারণে দেশে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের অধীন জমি কিছুটা কমেছে। তবে আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের অধীন জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ শুমারিতে ফসলের নিবিড়তা ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।
কৃষি শুমারি ২০১৯ অনুযায়ী মোট মাছ চাষের জমির পরিমাণ ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একর। ব্যবহার ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।
দেশে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে। জমির মালিকানা, জমির ব্যবহার, ফসল, কৃষিতে কর্মসংস্থান, কৃষি যন্ত্রপাতির সংখ্যা ও প্রাণিসম্পদের তথ্য জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ জরিপ করা হয়।
কৃষি শুমারি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২/আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা
জেডএ/এমজেএফ