ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

এবার কি বিক্রি হবে ৫২ মণের ‘মানিক’?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এবার কি বিক্রি হবে ৫২ মণের ‘মানিক’?

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ভেঙ্গুলিয়া গ্রামের অনার্স পাস হামিদা আক্তারের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ‘মানিক’ ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৫২ মণ। এবার এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

এ বছরও বিশালাকৃতির ‘মানিক’কে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হামিদা। যদিও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেলার সবচেয়ে বড় গরুটি বিক্রি করতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রেতার খোঁজ করা হচ্ছে।

গত ঈদুল আজহার দিন সকাল পর্যন্ত ঢাকার গাবতলী হাটে অপেক্ষার পরও বিশাল দেহের ষাঁড়টি বিক্রি হয়নি। তখন এটির ওজন ছিল ৪৫ মণ। সেই সময়ও ‘মানিকে’র দাম হাঁকা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা।

এ নিয়ে তিন দফায় হাটে উঠলেও কোনো বারই বিক্রি হয়নি মানিক।  

হামিদা আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গগুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইতিহাসে অর্নাস পাস করেছেন।  

গরুর বড় খামারি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লেখাপড়ার পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী ও ষাঁড় গরু লালন পালন করছেন তিনি।

হামিদা নিজের উপার্জনের বড় অংশই ব্যয় করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের মানিকের পেছনে। তার খামারে কয়েকটি গরু রয়েছে। এর মধ্যে গত বছর কোরবানির ঈদে ‘মানিক’ ও ‘রতন’ নামে দুটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। সে বছর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে ‘রতন’কে বিক্রি করেন। এরপর মানিককে লালন পালন করছেন।

এখন মানিকের ওজন প্রায় দুই হাজার ৮০ কেজি। গতবার বিক্রি না হওয়ায় তিনি এবারও এর দাম চাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।  

নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে হামিদাকে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

হামিদা বলেন, গত বছর হাটের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে এ বছর হাটে গরু নেওয়ার সার্মথ্য নেই। বিশাল গরুটি পুষতে সব শেষ করেছি। এ বছর মানিককে বিক্রি করতেই হবে। তাকে রাখার জায়গা নেই। এখনো গরুটির দাম হয়নি। যদি কেউ দয়া করে গরুটি আমার বাড়ি থেকেই কেনেন, তাহলে নিজে গিয়ে মানিককে তার (ক্রেতার) বাড়িতে রেখে আসব। গরুটি বিক্রি করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া জানান, এতো বড় গরু সবার কেনার সামর্থ্য থাকে না। তাই আমরাও হামিদার ষাঁড়টি বিক্রি করতে অনলাইনে চেষ্টা করছি। পাশাপাশি অন্য ক্রেতাদেরও খোঁজ চলছে। জেলায় বড় গরুর চাহিদা নেই। এছাড়া গত বছরও গরুটি বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে, তবে বিক্রি হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।