জয়পুরহাট: প্রায় তিন বছর পর গোয়াল ঘর থেকে বের করা হয়েছে ‘সোনামনি’কে। এ জন্য অন্তত আটজনের একটি দল তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেছে।
বলছিলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিল্লা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক জহুরুল ইসলাম মিলনের সোনামনি নামের একটি ষাঁড়ের কথা।
১০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং সাত ফুট প্রস্থের ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড় গরুটির ওজন এক হাজার ১১৫ কেজি অর্থাৎ সাড়ে প্রায় ২৮ মণ।
নিজের বাড়িতে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভীর বাচ্চা তিন বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন মিলন।
মিলন জানান, সোনানিকে প্রতিদিন নিয়ম করে দুই বেলা গোসল করাতে হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন খড়, সবুজ ঘাস, গুঁড়া, ভুসি, আটা, সুজি, খুদ, গুড়, খৈল, সয়াবিন দানা ও স্যালাইন খাওয়াতে হয় তাকে। প্রতিদিন তার পেছনে ব্যয় হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার মতো। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুটির দাম হাকা হচ্ছে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা।
গ্রামবাসী বলছেন, এতো বড় ও সৌখিন জাতের গরু এ ইউনিয়নে আর নেই। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে বড় করা এ গরুটিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন দেখতে আসেন অনেকে। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে এমন বড় গরু লালন পালন করতে পারলে, তারা প্রত্যেকেই স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
ওই গ্রামের আফজাল হোসেন, আলম মিয়া ও নার্গিস বেগম বলেন, প্রতি বছর নিয়ম করে এ ধরনের একটি গরু লালন পালন করলে সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে, পাশাপাশি দূর হবে বেকারত্ব। তাহলে শিক্ষিত বেকার যুবকদের আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. জিয়াউর রহমান জানান, জয়পুরহাটে মিলনের গরুর মতো এমন বিশাল আকারের গরু অনেক খামারিই এবার প্রস্তুত করেছেন। তাদের গরুগুলো বাজারজাত করতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
এ ক্ষেত্রে বড় গরুগুলোকে সুরক্ষা দিতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনলাইনের মার্কেট ধরতেও আমরা কৃষক ও খামারিদের পাশে রয়েছি, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এসআই