ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদের আহ্বান এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদের আহ্বান এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দিচ্ছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা

রাজশাহী: কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সমবায় বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে কৃষি সমবায় সমিতি গঠন করে সব কৃষি জমিকে এর আওতায় এনে চাষাবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা।  

তিনি বলেন, এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সমবায় বাজারে বিক্রয় করতে পারবেন।

এতে লাভবানও হবেন।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সুদমুক্ত ঋণ, অসহায় দরিদ্র ব্যক্তি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ভুক্ত শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও অর্থ সহায়তা বিতরণ, নাবী পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে নাবী পাট বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিতরণ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক শুকনা খাবার বিতরণ, ‘ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা’ খাতের আওতায় অনগ্রসরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি এবং বাইসাইকেল বিতরণসহ সরকারের বিভিন্ন অনুদান বিতরণ করা হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, দুর্গাপুরে সুবিধা মতো জায়গায় সুবিধাজনক সময়ে সমবায় বাজার তৈরি করা হবে। এই বাজারে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য দালালের খপ্পরে পড়া ছাড়াই সঠিক দামে বিক্রি করতে পারবেন। ভোক্তারাও সঠিক দামে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। দালালরা যাতে পণ্যের আর্টিফিসিয়াল ক্রাইসিস (কৃত্রিম সংকট) তৈরি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখানে যে পেঁয়াজের দাম মাত্র ৪০-৫০ টাকা অথচ ঢাকায় সেই পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। এটা হয়েছে শুধু মাত্র মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে। তাই আমি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, সমবায় বিভাগ এবং আপনাদের সহযোগিতায় এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কাজ করব। তা না হলে আমাদের দেশের এই সীমিত সম্পদ দিয়ে সামনে এগোনো সম্ভব হবে না।

সমবায় ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, সমবায়কে আমাদের মূল ভিত্তি করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জমি ও সম্পদের মালিকানার আইনে কীভাবে সমবায় সমিতি সম্পদের মালিক হবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এ সময় ব্যক্তি, ইন্ডাস্ট্রি এবং সমবায় সম্পদের এ তিন প্রকার মালিকানার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, শুধু দুর্গাপুর আর পুঠিয়া নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো রাজশাহী অঞ্চলের চেহারা বদলে দেওয়ার জন্য সরকার কতগুলো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা শিগগিরই দেখতে পাবেন। দুর্গাপুরে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা করা হবে। যার মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে মিলেছে। তিনি প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্প একনেকে উপস্থাপন করেছেন যা দিয়ে ৪১০ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। আগামী শীত মৌসুম থেকে এই প্রকল্পের টেন্ডার করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী উপকারভোগীদের হাতে সরকারের বিভিন্ন অনুদান তুলে দেন। পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি তাল গাছের চারা রোপণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এসএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।