নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর ও সূবর্ণচর উপজেলার চরাঞ্চলে মৌসুমরে প্রথম শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৪০ একর জমির তরমুজ নষ্ট হয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত দু’দিনের (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত) দু’দফা শিলা বৃষ্টিতে সদর ও সূবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তরমুজের এ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সদর উপজেলার পূর্ব চরউরিয়া গ্রামের রাসেল (৩২), কাজীর টেক এলাকার শামছুল হক (৪০), সালাউদ্দিন (৩০), পশ্চিম চরউরিয়ার রহমত উল্যা (৪৫), দুলাল (৪০), সূবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ ব্যাগ্গা গ্রামের আবুল কাশেম (৩৫), একই গ্রামের মজিবুল হক (৫০), পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের নুর উদ্দিন, একই গ্রামের আবদুল মতিনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এরমধ্যে কৃষক মজিবল হক তার চাষকৃত জমির তরমুজ নষ্ট হওয়ার দৃশ্য দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, দু’দিনের দুই দফা শিলাবৃষ্টিতে ৪০ একর জমির তরমুজ ফেটে নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজগুলো খাওয়া ও বিক্রয়ের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এতে কৃষকদের বর্তমান বাজার দরে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে এসব কৃষক। এখন তারা ঋণের বোঝা বহনের আতংকে রয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হতাশা জানিয়ে বলেন, তরমুজ চাষের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এজন্য তারা কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সবার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে নোয়াখালী সদর উপজেলার চাষ হরা হয়েছে ৫৩০ একর জমিতে। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ৩১৫ একর জমির পাঁচ শতাংশ তরমুজের ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে ৩০-৩৫ একর জমির তরমুজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রস্তুতে উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৬
এসএইচ