ময়মনসিংহ: এক সময় চর ছিল দুর্গম। সেই দিন আর এখন নেই।
প্রচলিত ধারণা ভেঙে বসতভিটার লাগোয়া পতিত জমিতে সবজি চাষে লেগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের নারীরাও। সবজি চাষে তারাও হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গ্রামের টাটকা সবজি ট্রাক কিংবা পিকআপে করে যাচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায়। আর এ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বোরোরচর, চর সিরতা ইউনিয়নের চর খরিচা, পরানগঞ্জের বীর বাওলা, শাহ বাজার, চর ঈশ্বরদিয়ার জয় বাংলাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে নানা জাতের সবজির সমাহার চোখে পড়লো।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় চরাঞ্চলের এ গ্রামগুলোতে সরিষা, গম আর কালাই ছাড়া অন্য কোনো ফসলের আবাদ হতো না। বেশিরভাগ জমিই থাকতো পতিত।
সেখানে আবাদ হচ্ছে চাল কুমড়া, পুঁইশাক, কাকরোল, ঝিঙা, লতা, ডেঙা, মিষ্টি কুমড়া, বরবটিসহ নানা প্রকারের সবজি।
চরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবজি চাষ। ভ্যানে সবজি নিয়ে হাটে যাচ্ছেন কৃষক। আবাদের সবজির বাজারজাত নিয়েই তারা ব্যস্ত। সবজি বিক্রি করে আয়ে সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরিয়ে আনছেন তারা।
জমিতে মাচা করে চাষ করা হয় চাল কুমড়া। সাড়া ফেলেছে এ সবজির চাষ। চরাঞ্চলের বাজারে উঠেছে এ টাটকা সবজি।
সবজির ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহের চরাঞ্চল। এখানে উৎপাদিত সবজির স্বাদই আলাদা। পুষ্টি চাহিদা পূরণে হরেক সবজির মধ্যে আলাদা কদর রয়েছে লতার।
ভ্যানে ভ্যানে সবজি ভরে যাচ্ছে শহরের বাজারে। অনেক গৃহস্থই আবার এ সবজি নিয়ে বিক্রি করেন স্থানীয় গ্রামের বাজারেও। কৃষাণ-কৃষাণীদের মতো শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীরও দম ফেলার সময় নেই।
জৈব সার ব্যবহার করেই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করেন চরাঞ্চলের চাষীরা। ফলে এখানকার সবজির রয়েছে আলাদা সুনাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
এমএএএম/জেডএস