লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরাঞ্চলে চলতি রবি মৌসুমে ৩২ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। যথাযথ পরিচর্যায় বাম্পার ফলনও হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চর কাদিরায় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানির নিচে তলিয়ে থাকা ক্ষেত রোদে শুকিয়ে উঠছে। ক্ষেতের দিকে তাকালে গাছের চিহ্ন দেখা যায় না। লতা থেকে ফুল, পাতা ও কচি তরমুজ ঝরে গেছে। মাঝারি সাইজের কিছু তরমুজ দেখা গেলেও তাও পঁচে খাওয়ার অনুপযোগী। স্থানীয় খামারিরা আধাপঁচা তরমুজ সংগ্রহ করে গরুর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, ফসল হারিয়ে চাষীদের চোখেমুখে বিষাদের চাপ। ঋণের বোঝা পরিশোদের চিন্তায় হতাশ।
স্থানীয় কৃষক জামাল হোসেন ও মো. রফিক জানান, ১২ একর জমিতে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে টানা বৃষ্টিতে সর্বনাশ হয়ে গেছে। অবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যেতো।
ওই এলাকার আবুল খায়ের, আবুল বাশার, রফিক উল্লাহসহ আরও ১৫/২০জন দলভিত্তিক তরমুজ চাষ করেছেন। বৃষ্টির কারণে তাদেরও প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
এছাড়াও চর লরেন্স, চর মার্টিন, চর পাগলা ও চর সামছুদ্দিনসহ চরাঞ্চলের তরমুজ চাষীরা টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কৃষিবিদ মোহাম্মদ আবদুস ছোবহান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন, মরচি, ডাল, বাদাম ও তরমুজসহ চলতি রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানির নিচে নিম্মজিত হয়ে ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
বিএস