সেচ প্রকল্প এলাকায় এখন ধান কাটা আর মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে দুই সেচ প্রকল্পের শতকরা ২০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।
সোমবার (১ মে) চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর চাঁদপুর জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬২ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৬৭২ হেক্টর জমিতে। আলু তুলতে কিছুটা দেরি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বালিথুবা ইউনিয়নের উপাধিক গ্রামের কৃষক আবু তাহের তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, তিনি এ বছর ৩ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। বর্তমানে তিনি ধান কাটতে শুরু করেছেন। আশা করছেন ১শ’ মনের বেশি ধান পাবেন তিনি। একই ইউনিয়নের ইসলাম পাটওয়ারী জানান, তিনি বোরো আবাদ করেছেন ২ একর জমিতে। ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি ১শ’ মন ধান পাওয়ার আশা করছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার লোহাগড়া গ্রামের কৃষক সফিকুর রহমান ও বাচ্চু পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, সেচ প্রকল্প এলাকায় বোরো আবাদে পানি দেরিতে আশায় আগে পরে আবাদ হয়েছে। অনেকের ধান পুরোপুরি কাটা হয়ে গেছে আবার অনেকের ধান এখনো মাঠে রয়েছে। তবে ভালো ফলন হওয়ায় তারা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত শতকরা ১৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। ৮-১০ দিনের মধ্যে বাকী ধান কাটাও শেষ হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, মেঘনা ধনাগোধা সেচ প্রকল্পে বোরো আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে কৃষকরা ধান বাড়িতে তুলতে পারবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক আলী আহম্মদ জানান, অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁদপুর জেলায় বোরো ধান এখন পর্যন্ত ভালো আছে। সেচ প্রকল্পের বাইরের ধান ডাকাতিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাটতে দেরি হয়েছে। সেচ প্রকল্পের ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে এবার। ৮-১০ দিনের মধ্যে প্রায় সব ধানই কাটা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
আরএ