স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাপ, কন্টাপ, ব্লাস্টিন, কনজা ওষুধ বাজার থেকে কিনে প্রয়োগ করতে বলেছেন। কিন্তু তাতে কোন প্রতিকারই মিলছে না।
চলতি মৌসুমে পরশুরামে ৩ হাজার ২শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। উপজেলায় মোট ৯জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজ করছেন। কৃষকরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা মাঠে না গিয়ে মোবাইল ফোনে সমাধান দেন। তাছাড়া তাদের সার দোকানে বেশী দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধান পাকার পর হঠাৎ করে পাকা ধান গাছের ঘাড়ে চিকন হয়ে পুরা শীষ মরে ভুষি হয়ে যাচ্ছে। রোগে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরো জমির ধান ক্ষেত মরে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অসময়ে অতি বৃষ্টি হওয়া দিনের বেলায় গরম রাতে ঠাণ্ডা, দীর্ঘ সময় শিশির ভেজা, ঝড়ো হাওয়া ইত্যাদি কারণেই এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণের কারণে ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস এর পক্ষ থেকে ধানের বাস্ট রোগ ও কৃষকের করণীয় বিষয়ক একটি লিফলেট প্রচার করতে দেখা গেছে।
তবে ওষুধে কাজ হচ্ছে না বলে স্বীকার করেছেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা উত্তম মজুমদার।
কৃষক ফিরুজ আলম, আবুল খায়ের, আবু তাহের জানান- এই অজানা রোগে তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফিরুজ আলম জানান, তার প্রায় ৫ একর জমির ধান সম্পূর্ণ ভুষি হয়ে গেছে।
মোঃ হানিফ নামে অপর কৃষক জানান, যে ওষুধই প্রয়োগ করা হোক না কেন, কোনো কাজে লাগছে না। তাছাড়া পাকা ধান ১০/১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভুষি হয়ে যাচ্ছে।
অতিবৃষ্টির কারণেই ধানগাছ ব্লাস্ট রোগে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট প্রচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
এসএইচডি/জেডএম