ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

দুর্যোগের পরও বালুচরে ধানচাষে সাফল্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
দুর্যোগের পরও বালুচরে ধানচাষে সাফল্য দুর্যোগের পরও বালুচরে ধানচাষে সাফল্য-ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতিতে কৃষকরা যখন সর্বশান্ত ঠিক তখনি চরাঞ্চলের পতিত জমিতে ধান আবাদ করে সফলতা দেখিয়েছেন এক যুবক।

ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালু কচকচে চরের পতিত জমিতে বিনা-১৭ ধান আবাদ করে মুখে সাফল্যের হাসি ফুটিয়েছে প্রত্যন্ত কোদালকাটি ইউনিয়নের চর সাজাই মণ্ডলপাড়া গ্রামের যুবক এরশাদ আলী।

পাশাপাশি বন্যা সহনশীল বিনা-১১ ও ১২ ধান আবাদ করেও ভালো ফল পেয়েছেন।

প্রতি একরে ৯০ থেকে একশ' মণ পর্যন্ত ফলনের সফলতা দেখিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। দুর্যোগের পরও বালুচরে ধানচাষে সাফল্য-ছবি: বাংলানিউজশুধু এরশাদই নয়, তার দেখাদেখি এসব ধান আবাদ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও সফলতার মুখ দেখেছেন এলাকার অনেক কৃষক।

মণ্ডলপাড়া গ্রামের এরশাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, এবারের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এলাকার আশ-পাশের বাদাম ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হলেও তার ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিনা ধান-১৭ আমন মৌসুমের ধান তবে, বোরো মৌসুমে চাষ করলেও ভাল ফলন পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, এলাকার কৃষক অল্প পরিশ্রম করে বেশি ফসল পেতে নিজেও কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে ভালো ফলন পায় অন্যরাও।

রাজিবপুর কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আকরাম হোসেন আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, যুবক এরশাদ শুধু বিনা-১৭ ধান লাগিয়ে তাক লাগাননি, চাষাবাদে নতুনত্বের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। শুধু ধানই নয়, সবজি, বেগুন, টমেটো, পেঁয়াজ চাষেও সফলতা দেখিয়েছেন। দুর্যোগের পরও বালুচরে ধানচাষে সাফল্য-ছবি: বাংলানিউজসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হেদায়েতুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বন্যা সহনশীল বিনা ধান-১১ ও ১২ আবাদ করে তিনি যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু পতিত জমিতে ধানের এতো বাম্পার ফলন অনুসরণীয়।

রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু বাংলানিউজকে জানান, এরশাদ একজন উন্নত ও নতুনত্ব চাষাবাদের প্রতিক। প্রতিদিন দিনভর কৃষাণ-কৃষাণীরা তার বাড়িতে ভিড় জমায় পরামর্শ নেওয়ার জন্য। তার মত কৃষি উদ্যোক্ততা থাকলে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, এরশাদ আলী রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার শতাধিক কৃষককে বিনামূল্যে বন্যা সহনশীল জাত বিনা ধান-১১ এর বীজ বিতরণ করেছে। এলাকার কৃষকরা এখন তাকে অনুসরণ করে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে চরাঞ্চলে সবুজের সমারোহ ঘটিয়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।