বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইউএসএআইডি ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং দি সীড সেক্টর ইন বাংলাদেশ: হোয়াট রোল ফর পলিসি?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে সফলভাবে 'বিটি বেগুন' উৎপাদনের পর এখন তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি।
কৃষির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একসময় খাদ্য সংকটের মত কঠিন সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু এখন সে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে। জাতীয় গবেষণা কেন্দ্রগুলো শতাধিক নতুন শস্যের জাত উদ্ভাবন করেছে। এই নয়া উদ্ভাবনীয় জাতগুলো পরিবেশ উপযোগী ও অধিক ফলনশীল।
এছাড়া বর্তমানে বীজ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা একেবারেই নেই জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষকরা এখন ফসলের মান নিয়ে চিন্তা করে না। তারা শুধু চিন্তা করে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে। সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে করে গরীব কৃষকরা কম যোগান দিয়েও আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে ফলন আরো বৃদ্ধি করতে পারবে। এছাড়া একটি গাছ কাটা হলেও গাছটির বীজ যেন সংগ্রহ করা হয় সে বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে আরো ছিলেন ইউএসএআইডি’র ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জেইনা সালাহী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ উদ্দীন আহমেদ, আইএফপিআরআই-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. আখতার আহমেদ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের (এপিএসইউ) মহাপরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামসহ আরও সরকারি, বেসরকারি কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমএএম/জেডএম