জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খান্নু মিয়ার বাড়িতে বড় হওয়া রাজা বাবুর ওজন এখন ৩৯ মণের ওপরে। গত বছর কোরবানি ঈদের পর ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কিনে আনেন তিনি।
খান্নু মিয়ার ছোট মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ষাঁড়টি বাড়িতে আসার পরই তাকে আমার খুব পছন্দ হয়। ষাঁড়টি বেশ শান্ত প্রকৃতির। রাজা বাবু নামে ডাকলেই সে সাড়া দেয়। রাজা বাবুর প্রতিদিনের খাবারে ব্যয় হয় হাজার টাকার বেশি। খাবারের তালিকায় থাকে কুড়া, ভূষির পাশাপাশি মিষ্টি লাউ, দেশি লাউ, সবরি কলা ও বিচি কলা, ছোলা, ভূট্টা, খড় ও কাঁচা ঘাস।
ইতি মা পরিষ্কার বিবি জানান, রাজা বাবুর মাথার ওপরে সব সময়ই ঘোরে বিদ্যুৎ চালিত দু’টি ফ্যান। সকালে একবার পরিষ্কার করতে হয় রাজা বাবুকে। দুপুরে প্রতিদিন একই সময়ে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে হয় খুব ভালভাবে। বিদ্যুৎ না থাকলে নিজেরাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন হাত পাখা নিয়ে। দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্যায়ামও করতে হয় তাকে।
খান্নু মিয়ার আরেক মেয়ে তাসলিমা বেগম জানান, ষাঁড়টি এক বছর আগে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়। এরপর থেকে তার পেছনে আরও কয়েক লাখ টাকার খাবার ব্যয় হয়েছে। ঈদের আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজন ষাঁড়ের দাম বলেছে ১৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আর ঈদের আগের দিন রাতে একজন ক্রেতা ১৬ লাখ টাকা দাম করেছেন।
তবে এই দামে রাজা বাবুকে বিক্রি করতে নারাজ তারা। তাই আরও এক বছর পালন করতে চান রাজা বাবুকে। কিন্তু রাজা বাবুকে কত দামে বিক্রি করবেন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তাসলিমা বেগম।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে ওই ষাঁড়ের ওজন ছিলো ৩৯ মণ। এখন তার ওজন আরও বাড়তে পাড়ে। তবে বিক্রয় মুল্য বা ষাঁড়ের বাজারদর সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
** ৩৯ মণের ষাঁড় রাজা বাবুও উঠবে কোরবানির হাটে
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
জিপি/