রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেব দুলাল ঢালী বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার জন কৃষক পাবেন গম বীজ, ২ হাজার ৪০০ জন কৃষক পাবেন ভুট্টা বীজ, সাড়ে ৭ হাজার কৃষক পাবেন সরিষা বীজ, ২ হাজার কৃষক পাবেন মুগ ডালের বীজ, ১ হাজার ৫০ জন কৃষক পাবেন তিল বীজ এবং ৩৬ জন কৃষক পাবেন বিটি বেগুনের বীজ।
এছাড়া ১ বিঘা জমিতে আবাদ করার পরিমাণে তারা বিনামূল্যে সার পাবেন। এতে কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি দেব দুলাল ঢালী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাদের বীজ ও সার সরবরাহ করা হবে। তাই তালিকা তৈরির জন্য রাজশাহীর নয় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এই চিঠি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে পাঠাবেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা যাচাই-বাছাই শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দিবেন। সেই তালিকা অধিদফতরে এলেই বীজ ও সার বিতরণ শুরু হবে। তবে এখনও অনেক স্থানে বন্যার পানি নামেনি।
তাই এই সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেলে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই বন্যার্তরা সরকারি এই সহায়তা পাবেন বলে জানান দেব দুলাল।
এবারের বন্যায় রাজশাহীর সাত উপজেলায় দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিবনদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন রাজশাহীর মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসএস/এমএ