ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমনে স্বপ্ন দেখছেন হবিগঞ্জের কৃষকেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৭
লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমনে স্বপ্ন দেখছেন হবিগঞ্জের কৃষকেরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমনে স্বপ্ন দেখছেন হবিগঞ্জের কৃষকেরা

হবিগঞ্জ: প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে ফসল গড়ে তোলা কৃষকদের কাছে নতুন কোনো ঘটনা নয়। গেলো বোরো মৌসুমে বন্যা ও শিলাবৃষ্টির ভয়াবহতা এতো বেশি ছিল যে চোখের সামনে পোয়াতি এবং পাকা ধানগাছ ভেসে যেতে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিলো না তাদের।

তারপরও ভেঙে পড়েনি হবিগঞ্জের কৃষকেরা। লোকসান কাটিয়ে উঠতে এবার তারা স্বপ্ন দেখছেন রোপা আমনকে ঘিরে।

চলতি বছর এ ফসলের চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার আট উপজেলার কৃষকেরা রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজের সমারোহ।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমনের এ মৌসুমে অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন তারা। কারণ এ সময় শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখীর অথবা আগাম বন্যার ভয় নেই। এছাড়া রোপা আমনের সবচেয়ে বড় শত্রু পোকার আক্রমণও তেমন নেই মাঠে। সবকিছু মিলিয়ে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক ওয়ারিশ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং পরিবেশের অন‍ুকূল আচরণে এ পর্যন্ত পরিকল্পনামতই শেষ হয়েছে চারা রোপন, ধান চাষ এবং জমিতে সার প্রয়োগের কাজ। ঠিকমত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ধানের চারা। এবার ধানের ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া এলাকার কৃষক তৌফিক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুন জমি চাষ করছি। এ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন হওয়ার সম্ভবাবনা রয়েছে।

লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমনে স্বপ্ন দেখছেন হবিগঞ্জের কৃষকেরা

জলসুখা গ্রামের কৃষক আশিক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সঠিক সময়ে মাঠ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় এ বছর বেশি জমি রোপন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত কয়েকবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় অন্তত দেড়গুণ ফলনের আশা করছেন তিনি।

হবিগঞ্জ জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত বছর জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৪ হাজার হেক্টর ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক কম জমি রোপন করা হয়েছিল। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার ১৩৫ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭৫ হাজার ৫০০ হেক্টর।

তিনি আরো জানান, সরকারি প্রশিক্ষণ অনুযায়ী কৃষকরা জমিতে সুষম সারের সঠিক প্রয়োগ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।