পোকা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে খাদ্য উদ্বৃত্তের এ জেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সরেজমিনে গেলে কৃষকেরা জানান, আমনের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের কৃষক বুলবুল বলেন, ‘আমন ধানে এবার কারেন্ট পোকা ও মাজরা পোকার উপদ্রব বেশি হওয়ায় আমরা কৃষকরা বিপাকে পড়েছি’।
বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলালখুড়ি গ্রামের বাবুল বলেন, ‘কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না’।
বড়গাঁও ইউনিয়নের চাষী মকবুল বলেন, ‘আমার ২ বিঘা জমিতে মাজরা পোকা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পোকা দমনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারীদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পাচ্ছি না। তারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের আমন ধান দেখতেও আসেন না’।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় এবার আমনের চাষ হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন চাল।
কৃষি বিভাগ ১৫ হেক্টর জমিতে পোকা ও রোগাক্রান্তের কথা স্বীকার করলেও বাস্তবে তা কয়েকগুণ বেশি বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। এ পরিস্থিতিতেও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের দেখাই মিলছে না বলেও অভিযোগ করছেন তারা।
ফলে রোগ-পোকা না দমালে ফলন ভালো না হওয়ার আশঙ্কা করছেন ক্ষেতের ফসল নিয়ে দিশেহারা চাষিরা।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কে এম মাউদুদুল ইসলাম পোকার আক্রমণের কথা স্বীকার করলেও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের নজরদারি রয়েছে বলে দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এএসআর