পাকা, পোকা ধরা বা অর্ধেক পচা কোনো সবজিই কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছেই না বাজারে। শাক থেকে শুরু করে বাঁধাকপি বা ফুলকপিতেও শুরু হয়েছে কেজির হিসাব!
সর্বশেষ রোববার (১৫ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত শহরের জয়ের বাজার, মেছুঁয়া বাজার, বড়বাজার, আনন্দবাজার ও রাজুরবাজার ঘুরে দেখা হয়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, কাঁচামরিচের কেজি ১৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে এমন দামেই প্রায় অপরিবর্তিত সবজির বাজার। নিম্নবিত্তদের তাই নাভি:শ্বাস উঠছে বাজারের গরমে। বাজার নিতে এসে চটপটি বিক্রেতা ভুট্টো দাস বাংলানিউজকে বলেন- ভালমন্দ যাই হোক, প্রতিটি রাত পার হলেই বাড়ছে সবজির দাম! দুই টাকার চটপটিওয়ালার রোজগার তো বাড়ে না। তারপর এমন এক পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, সব কিছু কেজি হিসেবে কিনতে হয়! ষাট টাকার নিচে কোন সবজিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। মন চায় ঘরসংসার সবকিছু ছেড়ে নিরুদ্দেশ হই।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মামুনের আক্ষেপ, সারাদিন পরিশ্রম করে যা রোজগার হবে তা পচা, আধাপচা সবজি বাজারে দিয়ে যেতে হবে। আর কয়েকদিন চললে ব্যবসার পাশাপাশি ভিক্ষা করেও জীবন বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সারা জীবনেও সবজি বাজারে এভাবে দাম চড়তে দেখেননি জানিয়ে রিকশাচালক গণি মিয়া’র অভিযোগ, দাম চড়ার পেছনে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে। সময় সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ক্রেতাদের গলায় ছুরি চালাচ্ছে।
তবে সবজির চড়া দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগসন্ধানী সেই চিরচেনা মন্তব্য, বৃষ্টি আর বন্যায় সবশেষ। সবজির আমদানি নাই।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান শিক্ষক শাহ্জাহান কবির। তিনি বলেন, শহরের কোনো বাজারে
কোনোদিন নিত্য পণ্যের মূল্য তালিকা লেখা হয় না। যে যার মতো ক্রেতাদের কাছ থেকে নিত্য পণ্যের দাম নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
জেডএম/