বুধবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে উন্নয়ন ধারা আয়োজিত 'খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, কৃষিকে মুক্তবাজারে ছেড়ে দিলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুনো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমেরিকা এবং ইউরোপে কথিত মুক্ত বাজার রয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা বছরের পর বছর ধরে কৃষি খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। উৎপাদন, চাহিদা, যোগান এবং মূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখার জন্য প্রতিবছর তারা এই ভর্তুকি দিচ্ছে। আমাদেরও তা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি খাতে ভর্তুকি মানে সরকার সচেতনভাবে অর্থায়ন অথবা বিনিয়োগ করবে। এই বিনিয়োগের ফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে না। এর জন্য ৫-৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে। দানা বা শস্য জাতীয় ফসলে সরকারের সচেতন অর্থায়নের কারণে আজ আমরা এসব ফসল উৎপাদনে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যায়।
এ সময় গ্রামীণ উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রামীণ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন। এছাড়া সমৃদ্ধিশালী কৃষি ব্যবস্থারও প্রয়োজন। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে এবং পুষ্টিমানও বজায় রাখতে হবে। ফলে কৃষি বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং এতে গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
এছাড়া বর্তমান সরকার খাদ্য অধিকার আইনের খসড়া তৈরিরও চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
এ সময় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- বিরোধীদলীয় হুইপ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, কৃষি গবেষণা ফাইন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েছ কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এমএসি/জেডএম