বন্যায় কৃষকদের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেড়েছে খড়ের দাম। যেখানে আগে প্রতি পোন (৮০টি) খড়ের দাম ছিল ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, সেখানে বর্তমানে প্রতি পোন খড়ের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
কথা হয় গরু বিক্রি করতে আসা উপজেলার রামনাথপুর ইউপির ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মামুন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে। তিনি জানান, অনেক শখ করে তিনটি গরু পালন করেছিলাম। কিন্তু গো-খাদ্যের এতটাই অভাব ও দাম চড়া যে অনেকটা বাধ্য হয়ে হাটে নিয়ে যাচ্ছি।
রামনাথপুর ইউপির খিয়ারপাড়া গ্রামের গরু খামারি তোজাম্মেল হক জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার নিয়ে আমি চিন্তায় আছি। যে অনুপাতে গো-খাদ্যের দাম সে অনুযায়ী গরু বিক্রিতো করতে পারবো না। অনেকটা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কষ্ট করে হলেও খামার ব্যবসা ধরে আছি।
তিনি আরও জানান, বিক্রির জন্য আমার খামারের গরুগুলো গত হাটে তুলেছিলাম। দাম তুলনামূলক কম হওয়াতে ফেরত নিয়ে এসেছি।
গো-খাদ্য খুচরা ব্যবসায়ী শওকত হোসেন জানান, সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দাম আরও বাড়তে পারে। এতে আমাদের খুচরা বিক্রি অনেক কমে গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, বিগত বন্যায় ধানের ক্ষতি হওয়ায় খড়ের দাম মাত্রাতিরিক্ত হিসেবে বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি অন্য গো খাদ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। এতে করে খামারিদের জন্য খামার পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
আরআর