ফলে অর্থ ও সময় দু’টিরই সাশ্রয় হওয়ায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে যন্ত্রটি।
ধান ছাড়াও গম-ভুট্টার মৌসুমে কাটা-মাড়াইয়ের সময় কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়।
সরেজমিনে গেলে ব্যবহারকারী কৃষকরা জানান, মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ৬০-৭০ শতাংশ খরচ কমায়, ৭০-৮২ শতাংশ সময় বাঁচায় এবং ৭৫ শতাংশ কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এ মেশিন ব্যবহার করে এক ঘণ্টায় ৩৩ শতক জমির ধান বা গম কাটা যায়। আবার প্রতি ঘণ্টায় দেড় একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, পরিস্কার এবং প্যাকেটজাত করা সম্ভব।
প্রচলিত নিয়মে এক একর জমির ফসল কাটতে খরচ পড়ে ৬ হাজার টাকা। সেখানে এটিতে খরচ পড়ে মাত্র ৬ লিটার ডিজেল। এ মেশিন অল্প কাদায় ব্যবহার ও সহজে আনা-নেওয়া করা যায়। ফসল কাটার পর খড় আস্ত থাকে। ফলে মেশিনটির মাধ্যমে ধান কাটা হলে ফসল বেশি পাওয়াও সম্ভব।
চলমান মৌসুমে কৃষি শ্রমিক সংকট ও মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে তাই মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টারে কৃষকদের আগ্রহের সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে। বিশেষ করে শ্রম-সময় সাশ্রয়কারী উন্নত প্রযুক্তির এ মেশিনের দিকে ঝুঁকছেন মাঝারি ও বড় কৃষকেরা।
অন্যদিকে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনায় সহায়তা দিতে বিভিন্ন মেশিনে ৫০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও দিচ্ছে সরকার। ফলে অনেক ক্ষুদ্র কৃষকও এখন একক বা যৌথভাবে মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর দাম বেশি হওয়ায় যারা কিনতে পারছেন না, তারাও ভাড়ায় চালাচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টারের নিয়মিত মূল্য সাত লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। ফলে মেশিনটি তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কিনতে পারছেন চাষিরা।
তবে চাহিদা অনুসারে মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও অর্থ সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এএসআর