ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

আমনের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা   

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
আমনের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা    পাঁকা আমন দুলছে মাঠে- ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: মাঠে মাঠে দুলছে ‍কৃষকের সোনালি স্বপ্ন আমন ধান, কোথাও কোথাও চলছে কাটা-মাড়াই। বাম্পার ফলনের আশায় উৎসবমুখর পরিবেশ বরিশালের চাষিদের ঘরে ঘরে।

কৃষি বিভাগ জানায়,  চলতি মৌসুমে বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৭ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৪০ হেক্টরে হাইব্রিড, ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৯৭ হেক্টরে উফসি এবং ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬৩ হেক্টরে স্থানীয় জাতের চাষ করা হয়।

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৬৮৫ মেট্রিকটন চাল।  

এরই মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি ধান কাটা হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

৬ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ পটুয়াখালী জেলায় ২ লাখ ২ হাজার ৬১৩ হেক্টর ও সর্বনিম্ন ঝালকাঠিতে ৫০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। বিভাগের মধ্যে উৎপাদনের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হয়েছে পটুয়াখালীতে ৫ লাখ ৭৬৩ মেট্রিকটন ও সর্বনিম্ন ঝালকাঠিতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ মেট্রিকটন চাল।  
মাঠে ধান কাঠছেন এক চাষি- ছবি: বাংলানিউজতেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং সামনের কয়েকটা দিন ভালো কাটলে বরিশাল বিভাগে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবার শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তুষার কান্তি সমদ্দার।

বরিশাল নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্গাচাষি আ. জব্বার জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর খরচ কিছুটা বাড়লেও উৎপাদন ভালো হয়েছে। মৌসুমের শেষ দিকে বৃষ্টি না হলে উৎপাদন আরো বেশি হতো। বৃষ্টিতে কিছু ধানে চিটা দেখা দিয়েছে। কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা না গেলেও এর পরিমাণ ৫-১০ শতাংশ হতে পারে।  

তবে বরিশাল জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান,  বৃষ্টি নয়, কিছু ক্ষেতে বীজের কারণে চিটা দেখা দিতে পারে, যা লক্ষ্যমাত্রায় কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না।
ধান মাড়াই হচ্ছে- ছবি: বাংলানিউজকৃষক বাবুল বলেন, আমনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বোরো আবাদ করতে পারছেন না তারা। পানির পাম্প থাকলে বোরোরও ভালো উৎপাদন করা যেতো।  

কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি সমদ্দার বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর ধানের মাঠ ভালো অবস্থানে রয়েছে। রোগ-বালাই ও পোকার উপদ্রব প্রতিরোধে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।  

আমনের বাম্পার ফলনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশাবাদী তিনি।  

বাংলা‌দেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এমএস/বিএস/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।