বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে তিনি জানান, গত বছর এই সময় যে নতুন ধানের মন ছিলো ৯০০ টাকা তা এখন প্রকার ভেদে ১ হাজার কিংবা ১১০০ টাকা।
বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ গ্রামের মো. নুরুল আমিন শেখ বলেন, এবার আমনের ফলন হয়েছে ভালো।
ডুমুরিয়া উপজেলার ৫নং আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং কুলবাড়ীয়া ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুল হালিম মুন্না বলেন, আমনের বাম্পার ফলনের পাশাপশি বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে হলুদ রঙে। আমন ধানের সোঁদা গন্ধে ভরে ওঠছে গ্রামীণ জনপদ। মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো সোনারঙ ধানের ছড়াছড়ি। আমন ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক। দফায় দফায় অতিবৃষ্টি ও নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরও চলতি মৌসুমে আমান ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা বেজায় খুশি। ধান কাটা, বাঁধা, বাড়িতে নিয়ে আসায় মহাব্যস্ত দিন কাটছে তাদের। বাড়িতে বাড়িতে পুরোদমে চলছে মাড়াইয়ের কাজ।
চাষিদের দম ফেলারও যেন ফুরসত নেই। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক। মজুদদার ও ফড়িয়ারা নতুন ধান কিনতে কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরছে।
কয়রা উপজেলার ৭ নং দক্ষিণ বেতবাশি ইউনিয়ন পরিষেদের (ইউপি) ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য গাজী বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই এলাকায় যদি আরও বেশি ঢিপ শ্যালো মেশিন স্থাপন করা হয় তাহলে মানুষ মাছ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে কৃষির উপর নির্ভরশীল হবে। তাতে ধানসহ কৃষি ফলন আরও বাড়বে।
কৃষকরা কেমন দাম পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ভালো দাম পাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে জানান, এবার খুলনায় ৯১ হাজার ৮৭০ হেক্টরে জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আজকের দিন পর্যন্ত ধান কাটা হয়েছে ৩২ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমির। যা শতকরার দিক থেকে ৩৬ ভাগ।
‘আমনে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে ধান বেশি হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। যার কারণে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪ , ২০১৭
এমআর/এমএ