সার আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় জড়ানো প্রতিষ্ঠানটি যশোরের নওয়াপাড়ায় ঘটাচ্ছে এই কাণ্ড। তাদের এই নষ্ট সার আবার সরকারি বাফার গুদামের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা হয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের হাতে পৌঁছাচ্ছে।
নওয়াপাড়ায় সাউথ ডেল্টার কয়েকটি গুদাম ঘুরে দেখা যায়, ভৈরব নদ তীরবর্তী নওয়াপাড়ার মশরহাটি গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকটি গুদামে দু’বছর আগে বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়া জমাট বাঁধা হাজার হাজার বস্তা ইউরিয়া সার বরফ ভাঙা মেশিনের সাহায্যে গুঁড়ো করে নতুন বিসিআইসি’র ৫০ কেজির নতুন বস্তায় ভরা হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি গুদামের মধ্যে নষ্ট সার মাটিতে ফেলে গুঁড়ো করে শুকোনো হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাউথ ডেল্টা নওয়াপাড়া কার্যলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান লাবু বাংলানিউজকে বলেন, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের নির্দেশনা মোতাবেক মজুদ ও ড্যাম্পিংকৃত শক্ত জমাট বাঁধা ব্যবহার অনুপযোগী সার ভেঙে গুঁড়ো করে ব্যবহার উপযোগী নেট ৫০ কেজি ওজনের ব্যাগে ভরে যশোর বাফার গুদামে পৌঁছানোর অনুমতি নেওয়া আছে।
কিন্তু ওই নির্দেশনাপত্রটি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি মাহাবুবুর রহমান লাবু।
বিসিআইসি’র যশোর বাফার গুদামের হিসাবরক্ষক ও ইনচার্জ আব্দুর রহিম খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালে সাউথ ডেল্টার জমাট বাঁধা সার গুঁড়ো করে যশোর বাফারে পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। তবে ২০১৮ সালের বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বহুল আলোচিত প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমানের চায়না পানপাতা চিকন ইউরিয়া সারের লাল বস্তায় ভরে ডিলারদের কাছে সরবরাহ করছে। এছাড়া চায়না থেকে আমদানিকৃত ইউরিয়া সার নিজদের অব্যবস্থাপনার কারণে জমাট বাঁধায় পুনরায় তা গুঁড়ো করে বিসিআইসির বলের প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছে। যে কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ কৃষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ইউজি/এএটি/এইচএ/
** নওয়াপাড়ায় পানিতে ভিজে ৫ হাজার বস্তা সার নষ্ট