কথাগুলো বলছিলেন বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কিসমত ঘাটাবিল এলাকার কৃষক মামুন মিয়া(৪৫)।
তিনি জানান, আল্লাহ রহমতে এখোন পর্যন্ত ধানোত তেমন কোনো বাবোদ দেখা যায় নাই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২শ’ ৬০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১৭ হাজার ৩শ’ ২৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর, উফসি জাতের ধান চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। ধানের জাতগুলো বিআর-১৫, বিআর-১৬, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৩৪, ব্রি ধান-৫০, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৬২ ও ব্রি ধান ৬৪, মিনিকেট।
সরেজমিনে বুধবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। যতদূর চোখ যায় সোনালি আভা ছড়ানো ধানের শীষই চোখে পড়ে। আরও চোখে পড়ে কিছু ক্ষেতে আধা পাকা ধানের শীষের সমারোহ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে তাদের আধা পাকা ক্ষেতগুলোও ছড়াবে সোনালি আভা। কৃষকরা স্বপ্নে বিভোর তাদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে।
সেখানে কথা হয়, পৌরশহরের কৃষক আতিয়ার রহমান আতির (৫২) সঙ্গে। কৃষক আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, গতবছরের বন্যায় ক্ষেতের ধান পচে নষ্ট হয়েছে। তখন কোনো ধানই বাড়িতে নিয়ে আসতে পারিনি। এবার আশা করছি আমার জমিতে প্রতি বিঘাতে (বিঘা ৫২ শতাংশ)৬৫ মণ
ধান পাবো। আমি তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। শুক্রবার (২০ এপিল) সকাল থেকে আমি ধান কাটা শুরু করবো।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় বাংলানিউজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুতের সরবরাহ ভালো থাকার কারণে কৃষকরা সঠিক সময়ে জমিতে সেচ দিতে পেরেছে। সার ব্যবস্থাপনাও ছিল পর্যাপ্ত।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবর রহমান জানান, এই সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এবারে জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিল না বললেই চলে। এছাড়াও কৃষকরা গত দুই মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বোরো ধান চাষ তারা ব্যাপকভাবে করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এএটি