শনিবার (২ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী এলাকার একটি জমিতে সরেজমিনে এমন ধান ক্ষেতের দেখা মিলে। কৃষকেরা বেশ আনন্দ উৎসাহ নিয়ে একত্রিত হয়ে ক্ষেতের ধানের গাছ কেটে ফলন সংগ্রহ করতে বেশ ব্যস্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশ রির্সোস সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক)নামের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওই ধান চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহ ও পরামর্শ দেয়। মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কুচমুচ, জিরাশাইল, মকবুল, বউ রানি, মোগলশাইন, চিনিগুড়া, কাইশাবিন্নি ও মনিশাইলসহ ৪৪ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বাংলানিউজকে জানান, এলাকা উপযোগী ধানের জাত বাছাই ও সংরক্ষণ করার জন্য একই জমিতে ৪৪ জাতের ধান চাষ করা হয়। রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত রেখে ওই ধানের আবাদ করেন চাষিরা। ধানের জমিতে জৈব ও সবুজ সার প্রয়োগ করেন ওই কৃষকেরা। এতে করে ওই জমিতে যে জাতের ধানের ফলন ভালো হয় সেই জাতের ধান চাষিরা ওই এলাকায় চাষাবাদ করতে পারবেন। এতে করে চাষিরা বেশ উপকৃত হবেন।
অপরদিকে বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ কৃষকদের কাছে সংরক্ষণ থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বরুন্ডী এলাকার ধানচাষি বৈদ্ধনাথ সরকার বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ওই ধান চাষের কারণে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ সর্ম্পকে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ শতাংশ জমিতে তিনি কাইশাবিন্নি জাতের ধান চাষ করেছেন। ধানের ফলনও বেশ ভালো।
এছাড়া বোরো ও আমন মৌসুমে ওই ধানের চাষ করা যায়। অতিবৃষ্টিতে ধান ক্ষেতে পানি জমে থাকলেও ধান চাষে তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই বলেও জানান তিনি। একই জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে তিনিসহ এলাকার অনেক চাষিরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৮
কেএসএইচ/এএটি