নতুন জাতটির ফলন হেক্টরে সাড়ে ছয় টন। এ ধানের চাষাবাদ অন্যান্য রোপা আমন (উফশী) ধানের মতো।
নতুন জাতের ধানটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
বুধবার (৩০ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় নতুন এ জাতটি অবমুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, ব্রি ধান৮৭ এর জীবনকাল ব্রি ধান৪৯ এর চেয়ে ৭ দিন কম। ব্রি ধান৪৯ এর চেয়ে ফলন হেক্টর প্রতি এক টন বেশি হয়।
আমন মৌসুমের আরেকটি জনপ্রিয় ধানের জাত বিআর১১। এর চেয়েও নতুন জাতের ফলন হেক্টরে আধা টন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এ জাতটি উদ্ভাবনে প্রথমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত ব্রি ধান২৯ এর সঙ্গে বন্য ধান Oryza rufipogon এর সংকরায়ণ করা হয়। পরবর্তীতে দুই বার Backcross করে Pedigree Method এ হোমোজাইগাস কৌলিক সারি নির্বাচন করে এ সারিটি উদ্ভাবন করা হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা মাঠে হোমোজাইগাস কৌলিক সারি নির্বাচনের পর ৩ বছর ফলন পরীক্ষার করা হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত কৌলিক সারিটি আমন ২০১৬ মৌসুমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের মাঠে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
কৃষকের মাঠে ফলন পরীক্ষায় উক্ত কৌলিক সারিটির জীবনকাল ব্রি ধান৪৯ এর চেয়ে ৭ দিন আগাম এবং ফলন বেশি হওয়ায় আমন মৌসুমের একটি জাত হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় বলে জানান গবেষকরা।
নতুন উদ্ভাবিত এ জাতটি সম্পর্কে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘উদ্ভাবিত নতুন জাতটি আমন মৌসুমের একটি ভালো জাত হয়ে উঠবে। দেশে প্রায় ৪০ বছর ধরে আমন মৌসুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত বিআর১১ এর চেয়েও বেশি ফলন হবে। এছাড়া বিআর-১১ এর চেয়ে ১৮ দিন কম সময়ে নতুন জাতটির ফলন পাওয়া যাবে।
বিআর-১১ এর জায়গা দখল করবে ব্রি ধান ৮৭। ভবিষ্যতে এটাই হয়ে উঠতে পারে আমনের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত বলেও জানান মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
আরআইএস/