প্রতিদিন খাগড়াছড়ি বাজার, মাটিরাঙা, গুইমারা, মানিকছড়ির গাড়িটানাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি আনারস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব আনারস চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি এলাকার আনারস চাষি মুকুল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবার দুই একর জমিতে ৫০ হাজার আনারাসের চারা লাগিয়েছি। ফলনও হয়েছে ভালো। ক্ষেত থেকেই সব আনারস পাইকারি দামে বিক্রি করে দিয়েছি। সামনের বছর আরও বড় পরিসরে আনারসের চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।
মহালছড়ির লেমুছড়ি এলাকার চাষি জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর দুই কানি জমিতে ২০ হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছি। তখন ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তবে এবার লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ। ’জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, গতবার খাগড়াছড়িতে ১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়। যেখান থেকে উৎপাদন হয় ১৮ হাজার ৯শ ৮ মেট্রিক টন আনারস। আর এবার আনারসের উৎপাদন তার চেয়ে বেশি হবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক সফর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতে পাহাড়ের মাটি খুব উর্বর। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কখনও ফলন ভালো হয় কখনও খারাপ। তবে চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
এডি/এএটি