বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাছ সরবরাহের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা বিশ্বে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ।
রাজশাহী জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সরকারি জলাশয়ে মাছ উৎপাদন করে চার হাজার ৯১৫ জন চাষি, বাণিজ্যিক খামার আছে ছয় হাজার ১০৮ জনের, ধান ক্ষেতে মাছ চাষ করে ১৮৯ জন ও খাঁচায় মাছ চাষের তিনটি খামার আছে। যাতে ৬০ জন চাষি মাছ চাষ করেন।
উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। রাজশাহী জেলায় প্রথম জীবন্ত মাছ সরবরাহ করা শুরু করেন তানোরে কৃষ্ণপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিন জানান, ২০০৯ সালে প্রথম পুকুর থেকে মাছ তুলে পানিভর্তি ট্রাকে করে ঢাকা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাকে থাকা বড় বড় রুই, কাতলা বাজারে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি দামে বিক্রি হয়ে যায়। তখন থেকে তিনি তাজা মাছ বিক্রি শুরু করেন। বর্তমানে জেলার মৎস্য চাষিদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতি মাছ চাষাবাদ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন, রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) রেজাউল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামছুল আলম শাহ্, সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী পরিচালক শিরিন শিলা ও খামার ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাজশাহী জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/