মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের গাছ থেকে বাইল বেরোনোর সময় এখন। প্রয়োজন বৃষ্টির।
সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি অভাবে মাটি ফেটে যাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। ক্ষতি হওয়ার কারণে জমিতে সেচ পাম্প চালাচ্ছি। এতে অনেক তেল ও বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। তারপরও ধানের উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে।
জামতলা গ্রামের কৃষক মামুন মণ্ডল বলেন, এখন পানির খুব প্রয়োজন। পানি না হওয়ার কারণে ধানে পোকা-মাকোড়, পচা লাগা, ধাপা ধরা, এগুলো এখন খুব বেশি আছে।
ডেফলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধানে বাইল বের হচ্ছেনা। সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। বৃষ্টির পানি ছাড়া এ পানি দিয়ে ধানে বাইল বের হবেনা ফলন-তো দূরের কথা।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১ লাখ ২৫০ হেক্টর জমিতে। রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এসআরএস