বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে স্থানীয়ভাবে সেচ মেশিন থাকলেও তা ব্যবহারে অনুমিত নিয়ে জটিলতায় সাধারণ কৃষকরা এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
উপলা গ্রামের কৃষক ছায়েদ খাঁ, আব্দুল আলী মড়ল, ও বাবুল শেখের অভিযোগ, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্থানীয় ব্যক্তি আজিজুল হকের সেচ মেশিন থেকে কৃষিকাজে পানি ব্যবহার করা হতো।
‘কিন্তু মঞ্জুরুল এখন পর্যন্ত কৃষকদের পানি দিতে পারছেন না। এমনকি সেচ মেশিনের ঘর কিংবা পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করেননি তিনি। কেনো ওই ব্যক্তিকে কোনো লাভের আশায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?’ প্রশ্ন স্থানীয় কৃষকদের।
কৃষকরা আরও বলেন. ‘সরকারের দেওয়া বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ মেশিন চালিয়ে কৃষিকাজে পানি ব্যবহার করতে পারলে ফসল উৎপাদনে কাঠাপ্রতি ৭০০ টাকা খরচ কমে হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে। ’
ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পানি-সংকটে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছে না। এতে ওই কৃষকদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। যে ব্যক্তিকে বিএডিসি থেকে সেচ মেশিন ব্যবহারে অনুমিত দেওয়া হয়েছে তিনি কৃষকদের পানি দিতে পারবে বলে মনে হয় না। ’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেচ কমিটির সদস্য সচিব বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) শেখ আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সেচ কমিটির সভাপতি বিষয়টি দেখবেন।
সেচ কমিটির সভাপতি পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে বাংলানিউজকে বলেন, সদস্য সচিব বিষয়টি দেখবেন। কারণ যে ব্যক্তি (আজিজুল) সেচ মেশিনে কৃষকদের পানি দিতে পারবেন সভাপতি হিসেবে আমি তার জন্যই প্রতিবেদন দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
জিপি