জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের এই কৃষক চলতি মৌসুমে গাঁদা ফুলচাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার বাণিজ্যিক ফুলের বাগান এখন দর্শনীয় স্থানও বটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোলাম মোস্তফা চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো গাঁদা ফুল চাষ করেছেন। আর প্রথমবারেই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, যশোরের গদখালীর ফুলচাষি আকরাম আলীর পরামর্শে তিনি গাঁদা ফুলচাষে উদ্বুদ্ধ হন। এজন্য দুই বিঘা জমি হারি (লিজ) নিয়ে করেন দেশি জাতের গাঁদা ফুলের আবাদ। এ কাজে তাকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা। প্রথমবার তার ফুলের কাটিং, সেচ, চাষাবাদ এবং ছত্রাক নাশক ব্যবহারে সব মিলিয়ে মাত্র ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। এক মাসের মধ্যেই চারা গাছগুলো থেকে বেরিয়ে আসে ফুলের কুঁড়ি। এর কয়েকদিনের মধ্যেই ফুলে ফুলে ভরে যায় তার ক্ষেত। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি দেড় লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রি করেছেন।
কৃষক গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, সাতক্ষীরার ফুল ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে ১৭০ টাকা হাজার দরে ফুল কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন তার বাগান থেকে ২০-২৫ হাজার ফুল বিক্রি হয়। পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষেও অনেক ফুল বিক্রি হয়েছে।
সামনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে অনেক ফুল বিক্রি হবে। শীতকালীন ফুল হওয়ায় আগামী আরও এক মাস বাগান থেকে ফুল বিক্রির আশা করছেন তিনি। আর এ থেকে সব মিলিয়ে দুই-তিন লাখ টাকা আয়ের প্রত্যাশাও রয়েছে তার।
গাঁদা ফুলের মৌসুম শেষে গ্লাডিউলাস ফুলচাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যশোরের গদখালীর মতো আমরাও ফুল চাষে একদিন সুনাম অর্জন করতে পারবো। যা সাতক্ষীরা জেলাকে নতুনভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে সাহায্য করবে।
এদিকে, গাঁদা ফুলচাষে গোলাম মোস্তফার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এরই মধ্যে সোহাগ হোসেন ও হামিদুর রহমান নামে নগরঘাটার দুই যুবক গদখালী এলাকা ঘুরে রজনীগন্ধা চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নয়ন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। এর মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থান হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসআই