রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া হয়। প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল এই শিলাবৃষ্টি।
নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তার ইউনিয়নের পিপরুল, পাটুল, হাপানিয়া, ভুষণগাছা, আচড়াখালী, কালীগঞ্জ, ঠাকুর লক্ষ্মীকোলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ঘরের চালা ফুটো হয়ে গেছে। ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ধানসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠাই মুসকিল হয়ে পড়বে।
খাজুরা ইউপির চেয়ারম্যান খুলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তার ইউনিয়নের করেরগ্রাম, গোয়ালঘাট, বামুনগ্রাম, হাটবিলা, পারবিশাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২০ বছরের মধ্যে এমন শিলাবৃষ্টি কখনও হয়নি।
পাটুল গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম ও আকতার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কারো কারো ফসল ঘরে তোলাই যাবে না। এমন পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে গাছের পাতা পর্যন্ত ঝরে গেছে। স্তূপাকারে শিল পড়ে আছে মাটিতে। সিংড়া এলাকার স্থানীয় সাংবাদিক রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এই উপজেলার চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, ভাগনগরকান্দি, খরমকুড়ি, কলম, কালিনগর, দাজপুর, লালোর, ডাকমণ্ডপ, বারইহাটিসহ অন্তত ২০টি গ্রামের উপর দিয়ে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শিলাবৃষ্টিতে গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ ক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
আরবি/