উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরবরাহকারী ও ঠিকাদারের লোকজন জমাটবাঁধা সার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে পুনরায় বস্তায় ভরার কাজ করছেন। তবে এরইমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেছে।
যদিও রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের সার ডিলাররা বরাদ্দকারী সংস্থা বিসিআইসিকে আগেই জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের নষ্ট সার কোনোভাবেই উত্তোলন করবেন না।
ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপুল পরিমাণ জমাট ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহী বাফার গুদামে কর্মরত বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) কর্মকর্তা ও ডিলাররা।
সার ডিলার জানিয়েছেন, চাষিরা গত বছর একই ধরনের জমাটবাঁধা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইউরিয়া সার বিভিন্ন ফসলের জমিতে ব্যবহার করে মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
জমাট সার উত্তোলন করে চাষিদের সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের ডিলাররাও ব্যবসায়িক ক্ষতিতে পড়েন। পরে বিক্রি করতে না পেরে মেয়াদোত্তীর্ণ জমাট সার অনেক ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছেন।
বিষয়টি জানিয়ে রাজশাহী জেলা সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে কয়েক দফা লিখিতভাবে অভিযোগও দিয়েছিল জেলা ফার্টিলাইজার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
বিসিআইসি রাজশাহীর গুদাম ইনচার্জ শামীম আহমেদ বলেন, পরিবহন ঠিকাদাররা প্রায় ৫০০ টন সার রাজশাহী বাফার গুদামে নিয়ে আসেন। কিন্তু সার গুদামে ওঠানোর পর দেখা যায়, অধিকাংশ বস্তার ভেতরের সার জমাটবাঁধা। অনেক বস্তার ওজন ৫ থেকে ৭ কেজি করে কম।
প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ওই সার নষ্ট ও জমাটবাঁধা হওয়ায় গ্রহণ করা হয়নি। এখন পরিবহন ঠিকাদারের লোকেরা শ্রমিক দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে জমাট সার ভাঙছেন ও নতুন বস্তায় ভরছেন।
রাজশাহী ফার্টিলাইজার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ওসমান আলী বলেন, জমাট সার তুলে গত বছর রাজশাহীসহ তিন জেলার ডিলারদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট সার কিনে অনেক চাষিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে তারা এবার গুদামে আসা জমাট সার না উত্তোলনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেন অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এসএস/আরবি/