মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই কম বেশি আবাদ হয়
পেঁয়াজের। তবে জেলার শিবালয়, হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি।
পেঁয়াজ চাষের জন্য জমি তৈরি, পেঁয়াজের চারা বা বীজ সংগ্রহ, সার, কীটনাশক এবং চাষাবাদের জন্য শ্রমিকের খরচ মিলিয়ে প্রতি ডেসিমাল জমিতে খরচ হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। প্রতি ডেসিমেল জমিতে প্রায় দেড় থেকে ২ মণ করে পেঁয়াজের ফলন হয়েছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের বর্তমান বাজারদর রয়েছে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে বাম্পার ফলনের পরেও হাতাশা কাটেনি বলে মন্তব্য পেঁয়াজ চাষিদের। জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা সরদারপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে হেলাল সরদার বাংলানিউজকে জানান, নিজের শ্রমের মূল্য বাদ দিয়েই প্রতি ডেসিমেল জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০০ টাকা। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের খুব ভালো ফলন হওয়ায় ডেসিমেল প্রতি প্রায় ২ মণ করে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। তবে বাজারদর কম থাকার কারণে পেঁয়াজ চাষে মুনাফার খাতা শূন্য বলে জানান তিনি।
একই এলাকার মোকছেদ শিকদার বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে দু’বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন তিনি। ফলনও হয়েছে বেশ। তবে জমি চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও সার এবং কীটনাশকের বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি করলেও বর্তমান বাজারদর ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। কিন্তু এতেও কোনো মুনাফা হবে না বলেও জানান তিনি।
শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন জানান, পেঁয়াজ চাষে খরচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের বাজারদর নেই বললেই চলে। প্রতি ডেসিমেল জমিতে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা করে খরচ করে ডেসিমেল প্রতি ফলন হয়েছে প্রায় দেড় মণ করে। এতে করে শুধুমাত্র কোনো মতে খরচের টাকাটা পাওয়া যাবে। তবে যাদের ফলন কম হয়েছে তাদেরকে লোকসান গুণতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গ্যানেশ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ হাজার ৭শ’ ৩১ হেক্টর জমিতে তাহেরপুরী ও ঝিটকাপুরী জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে মানিকগঞ্জে। তবে বাজারদর তুলনামূলক কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পেঁয়াজ চাষিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
কেএসএইচ/এএটি