সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায়ই বাড়ির উঠানে, এমন কি ঘরের আশপাশে যেখানে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানেই লেবু গাছ। কৃষি জমির পাশাপাশি পতিতজমিতেও লেবু চাষ হচ্ছে।
শেখরীনগর গ্রামের লেবু চাষি নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অন্য ফসলের খরচ বেশি হওয়ায় আমি ২১০ শতাংশ জমিতে লেবুর আবাদ করি। প্রথম বছর কোনো লেবু না আসায় বিক্রি করতে পারিনি তবে পরের বছর থেকে বাগানে লেবু ধরতে শুরু করে। এখন প্রতি বছর গড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করি। সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি লাভ হয়। অন্য কোনো ফসল আবাদ করলে এতো লাভ হতো না।
সাটুরিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, লেবুর ফলন গত বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে। আমার ৩ বিঘা জমিতে ২০ হাজার টাকার মতো পরিচর্যায় খরচ হয়। লেবুর দাম গত বছরের চেয়ে এবার ভালো। প্রতি খাচি লেবু ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। দামটা এরকম থাকলে ভালোই লাভ হবে।
সাটুরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার লতিফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ ওয়ার্ডে প্রায় সব বাড়িতেই লেবুর বাগান আছে। অন্য ফসলে লাভ কম হওয়ায় অনেকেই লেবুর বাগান করেছে। লেবু বাগান ঠিকমতো পরিচর্যা করলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর লেবু ধরে। যে কারণে আমাদের গ্রামে লেবুর আবাদ বেশি হচ্ছে।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে লেবু দেশের বাইরে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সাটুরিয়া উপজেলা লেবু আবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে লেবু চাষ হচ্ছে। এ বছর আমরা ১০টি স্থানে লেবুর প্রদর্শনী করেছি এবং প্রতিনিয়ত লেবু চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এনটি