সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ওইসব বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে এখন সূর্যমুখীর সমারোহ।
মাটি ও আবহাওয়ায় অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন সূর্যমুখী চাষিরা। এতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন হওয়ায় চাষিরা ফসল ঘরে তোলার কথা ভাবছেন। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি একর জমিতে সূর্যমুখীর ফলন হয় ২০ থেকে ২৪ মণ। এর থেকে তেল পাওয়া যায় প্রায় ১২ মণ। প্রতিকেজি তেল বাজারে ২৮০ টাকা দামে বিক্রি করা যায়।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ ইউনিটের সহযোগিতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা কৃষকদের বিনামূল্যে হাইসান-৩৩ জাতের বীজ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোনো অংশই ফেলা যায় না।
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর গ্রামের নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর সূর্যমুখীর চাষ করে সফল হয়েছি। তাই এ বছরও চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো। আশা করছি, গত বছরের মতো এ বছরও লাভবান হতে পারবো।
মিয়ারহাট এলাকার বাচ্চু ৪০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সন্তুষ্ট। সেখানকার ১১ জন চাষি সূর্যমুখী চাষাবাদ করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফলন ঘরে তুলেছেন, অনেকে আবার তুলতে শুরু করেছেন। ফলন নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।
গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক (কর্মসূচি) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা চাষিদের উন্নতমানের সূর্যমুখী বীজ সরবরাহ করছে। চাষিরা খুব আগ্রহ নিয়ে সূর্যমুখীর আবাদ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ভোলাতে সূর্যমুখীর আবাদ শুরু হয়েছে। গত বছর ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এ বছর ১৬ হেক্টর জমিতে এর আবাদ হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও সূর্যমুখী আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা অন্যতম। এতে একদিকে সূর্যমুখীর আবাদ বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
আরবি