বুধবার (২২ মে) দুপুরে জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মধুসুদনপুর গ্রামে গিয়ে তিনি ধান কেনেন।
পবা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কৃষকেরা সরকারি মূল্যে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না।
খবর পেয়ে ওই গ্রামের কৃষকেরা ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে ৩ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আড়াই মেট্রিক টন ধান কেনেন। এ সময় প্রকৃত কৃষকদের শনাক্ত করা হয়।
মজিবর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, ডিসি উপস্থিত থেকে ধান কেনার কথা শুনে তিনি ১৫ মণ ধান বিক্রি করেছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তিনি ধান বিক্রি করেছেন। প্রতি মণ ধানের দাম পেয়েছেন ১ হাজার ৪০ টাকা। তিনি বলেন, ‘আমার মতো সারা দেশের ধানচাষিরা বাজারে ধানের এমন মূল্য পেলে উপকৃত হতো। সব জায়গায় যদি এভাবে ধান কেনা হয়, তাহলে চাষিরা কিছুটা হলেও উপকার পাবে’।
জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, ‘কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। তিনি ও তার কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করবেন। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকৃত কৃষকের কাছে থেকে ধান কেনা হচ্ছে। শিগগিরই কৃষকদের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দফতর ও ব্যাংকে তাগিদ দেওয়া হবে।
তবে প্রান্তিক অনেক কৃষকের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় ধান দিতে পারছে না। এতে কৃষকরা ধান বিক্রিসহ অন্যান্য কৃষি সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ডিসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা নাসরিন, কৃষক মাইনুদ্দিন, আব্দুল আওয়াল, মনিরুল ইসলাম, বাবু আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এসএস/ওএইচ