বুধবার (২২ মে) মধ্যরাতে ঝড়টি আঘাত হানে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের কারণে অসংখ্য গাছ ভেঙে পড়েছে সড়ক ও বসত বাড়ির উপর।
বিরল উপজেলার তেঘরা গ্রামের কৃষক রফিজ উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, এ সময় তো ঝড় হয় না। কিন্তু রাতে হঠাৎ করে ঝড়ের ফলে আশপাশের অনেক গ্রামের কৃষকের পাকা ধানের গাছ হেলে পানিতে ডুবে গেছে। এমনিতেই বাজারে ধানের দাম নেই, তার ওপর ধান নষ্ট।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মাশিমপুর গ্রামের লিচু চাষি রফিক মিয়া বাংলানিউজকে জানান, লিচু ঈদের পর পাড়ার টার্গেট রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে অধিকাংশ লিচু ছিড়ে পড়ে গেছে। ছিড়ে পড়া লিচু নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবো না। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের সাহায্য করার জন্য। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এনটি