কৃষকেরা বলছেন, প্রতি মণ ধান ঘরে তুলতে ব্যয় হচ্ছে ৬ থেকে ৭ শত টাকা। অথচ বাজারে এ ধানেরই দাম রয়েছে মাত্র সাড়ে চার থেকে পাঁচশো টাকা।
ধান চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার পরও বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে ক্ষেতের ধান এখন মাথার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকের!
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতভর্তি বোরো ধান। ফলনও ভালো ও ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। বাড়ি বাড়ি চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজও। তবে বাজারে দাম কম হওয়ায় আগামিতে ধান চাষ থেকে বিরত থাকার কথাও বলছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার কালকিনি, রাজৈর, শিবচর ও সদর উপজেলায় স্থানীয় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৩ শত ৫৮ হেক্টর জমিতে। বোরো উফশী আবাদ হয়েছে ৩২ হাজার ১শত ৭ হেক্টর জমিতে। বোরো হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২ শত ১৪ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি কার্যালয় জানায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, ফসল কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন ৫শ থেকে ৭শ টাকা খরচ হচ্ছে ধান কাটার শ্রমিকদের পেছনে। অথচ বাজারে ধানের দাম নেই বললেই চলে।
কৃষকেরা আরও বলেন, শ্রমিক সংকটে নিজেদেরই ধান কেটে বাড়িতে তুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বেশ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে জমির ধান নিয়ে। যদি বাজারে দাম ঠিকমত পাওয়া যেতো তবে এই কষ্ট সার্থক হতো। এ ধরনের হলে ধানের আবাদ থেকে কৃষকেরা বিরত থাকবে আগামীতে।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জিএমএ গফুর বলেন, ধানের ফলন যাতে ভালো হয় সেজন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্ন গ্রুপ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এ বছরে জেলার সকল উপজেলাই ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকরা হতাশার মধ্যে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, ২৭, ২০১৯
এএটি