ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ

মানিকগঞ্জ: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। 

জেলার বরংগাইলে কাঁচা মরিচের হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, মরিচের হাট নামে খ্যাত বরংগাইলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাষিরা বস্তা ভর্তি মরিচ নিয়ে আসছেন। বাজার দর অনুযায়ী পাইকাররা দাম দিয়ে কিনছেন সেই মরিচ।

 

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় এই মরিচ। হাটে দুপুরের পর থেকে কার্টনে মরিচ ভর্তি করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়। মরিচ ভর্তির পর যে দেশে যাবে সেদেশের সিল মারা হয় সেই কার্টনে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক মরিচ দেশে ও দেশের বাইরে যায় এই হাট থেকে।  .গত বছর মানিকগঞ্জে সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছিলো।  ভালো দাম না পাওয়ায় এবার তিন হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে মরিচের দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। তবে দাম পড়ে গেলে লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলেও জানান তারা।

মহাদেবপুর এলাকার মরিচ চাষি আকবর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করছি। গত বছর আরো বেশি করছিলাম, কিন্তু দাম না পাওয়ায় এ বছর আবাদ কমিয়ে দিয়েছি। এ বছর অবশ্য মরিচের দাম এখন পর্যন্ত ভালো আছে, এ রকম দাম থাকলে মরিচ চাষিরা লাভবান হবেন।  কাঁচা মরিচ।  ছবি: বাংলানিউজঘিওর এলাকার মরিচ চাষি নজুমুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতি বছর মরিচের আবাদ করি। আমার এক বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো দাম পেলে এক বিঘা জমি থেকে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করা যায়। বর্তমানে বাজারে মরিচের যে দাম আছে এ দাম থাকলে এ বছর চাষিরা কয়টা টাকা লাভের মুখ দেখবেন, আর যদি দাম পড়ে যায় তবে গত বছরের মত জমিতেই মরিচ পচবে।

বরংগাইল হাটের মেসার্স তাজ বাণিজ্যালয়ের পরিচালক তাজউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমার আড়ৎ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচ সাপ্লাই হয়ে থাকে। আমি দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, কুয়েত, দুবাই, রিয়াদ, সিঙ্গাপুরসহ আরো কয়েকটি দেশে মরিচ রপ্তানি করি। বর্তমানে হাট থেকে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে মরিচ কিনছি আমরা। এই দামটা থাকলে মরিচ চাষিরা কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন। ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাঁচা মরিচ।  ছবি: বাংলানিউজবরংগাইল হাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, বরংগাইল হাট থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার টন মরিচ দেশে ও দেশের বাইরে যায়। মরিচ রপ্তানির পরিমাণ আরো বাড়লে চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন বলেও মন্তব্য করেন বণিক সমিতির এই নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।