বাংলাহিলি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১৬ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুর রাফিউল আলম উপজেলার পাঁচজন কৃষকের কাছ থেকে তিন মেট্রিকটন বোরো ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে আর ক্রয় করা হয়নি।
হাকিমপুর উপজেলার নন্দিপুরের কৃষক নজরুল ইসলাম, ইসবপুরের কৃষক জালাল বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সব জায়গায় ২৫ এপ্রিল থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। কিন্তু হাকিমপুরে কি কারণে কেনা হচ্ছে না, তা আমাদের জানা নেই। কখন কিভাবে কেনা হয় তাও কৃষকেরা জানে না। বলা যায় প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই চলে ক্রয় অভিযান। সরকারের মুখের দিকে চেয়ে না থেকে ৫৫০-৬০০ টাকায় অনেক কৃষক তার ধান বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাতে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ফল আমরা কম দামে বাজারে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৫/৬ দিন আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কৃষকদের নামের তালিকা পেয়েছি। এই উপজেলায় এবার ২১৫ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। তাই ১৪ হাজার কৃষকের মধ্য থেকে ২১৫ জন প্রান্তিক কৃষক বাছাই করে প্রত্যেকের কাছ থেকে এক মেট্রিক টন করে কেনা হবে। এ কারণে তালিকা করতে একটু সময় লাগছে। এবার প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা এবং চাল ৩৬ টাকা দরে কেনা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শামীমা নাজনীন বাংলানিউজকে জানান, এ বছর ৭৩২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে। সেই তুলনায় চাহিদা অপ্রতুল। আরও বরাদ্দ হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
হাকিমপুরের ইউএনও আব্দুর রাফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, সারাদেশের সঙ্গে আমরাও ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেছি। কিন্তু আমাদের ১৪ হাজার কৃষক। এদের মধ্যে এক একরের কম আবাদ করেছেন এমন কৃষকদের মধ্যে লটারি করে ধান ক্রয় করা হবে। এজন্য ভালোভাবে যাচাই বাছাই করতে সময় লাগছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ধান কেনা শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এনটি