উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান স্বজন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর ১০টি খাঁচা দিয়ে ‘মোনোসেক্স তেলাপিয়া’ মাছ চাষ শুরু করি। প্রতি খাঁচার দৈর্ঘ্য-২০ ফুট, প্রস্থ-১০ ফুট।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ঋণ ও অন্য সুবিধা পেলে অনেক বেকার যুবক এ কাজে এগিয়ে আসবে। এতে বেকার সমস্যার পাশাপাশি দেশে মাছের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর ঘাটে সারি সারি করে খাঁচা বসানো হয়েছে। নদীতে চার কোনায় বাঁশ, স্টিলের পাইপে জাল লাগিয়ে খাঁচা বানানো হয়েছে। সেই খাঁচা ড্রাম দিয়ে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার মেম্বারকে ছোট পরিসরে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে দেখে বিষয়টি আমার ইউনিয়নের বেকার যুবকদের পরামর্শ দেয়। সে পরামর্শ অনুযায়ী অল্প পরিসরে কয়েকজন চাষ শুরু করেছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৮০ জন বেকার যুবকদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। সরকারি বড় সহযোগিতা পেলে এ এলাকায় খাঁচায় মাছ চাষে বিপ্লব ঘটবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাকিলা জাহান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরে সরকারিভাবে ‘মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় দুটি প্রদর্শনী প্রকল্পে আড়াই লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। নতুন করে কেউ মাছ চাষ শুরু করলে আরও সরকারি সহযোগিতা করার সদিচ্ছা রয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
স্থানীয়রা জানান, নদীতে পানি বাড়লে খাঁচা উপরে ওঠে, আর পানি কমলে খাঁচা নিচে নেমে যায় বলে অনেক বেকার যুবক মাছের চাষ করতে আগ্রহী। সরকারি সহযোগিতা পেলে কর্মসংস্থান হবে স্থানীয় যুবকদের। এতে এই এলাকায় বেকারত্ব কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এনটি