দেশে সবজির চাহিদা সারা বছর থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে মেহেরপুরে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার লাউয়ের চাষ হয়েছে ১২০ হেক্টর জমিতে, যা গতবারের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। বিঘাপ্রতি লাউ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১০/১২ হাজার টাকা। বাজার দর ও চাহিদা ভালো থাকায় এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত লাউ বিক্রি করে কৃষক ঘরে তুলছেন ৫০-৬০ হাজার টাকা।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাওবাড়িয়া গ্রামের লাউ চাষি আব্দুল হান্নান ও গোলাম রসুল বাংলানিউজকে জানান, লাউ চাষ করে লোকসান গুণতে হয় না। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয় এ সবজি বিক্রি করে। তাছাড়া বাজারে সব সময় লাউয়ের চাহিদাও থাকে।
গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের ব্যবসায়ী ইমারত আলী বাংলানিউজকে জানান, আমি এখান থেকে লাউ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মার্কেটে লাউয়ের চাহিদা সব সময় থাকে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রাসারণ অদিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, অর্থকরী ফসল হিসেবে লাউ আবাদে কৃষক লাভবান হওয়ায় সবজির জেলা মেহেরপুরের চাষিরা লাউ চাষ করে থাকেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এবং সব স্তরের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে উৎপাদিত সবজি-ফসলের সংরক্ষণের জন্য একটি সবজি হিমাগার স্থাপন করবে এ প্রত্যাশা এলাকার কৃষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমএমইউ