কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ২০০ হেক্টর। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ধানের ফলন হয়েছে ভালো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১২ হাজার ৩৭৫ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৬৬২ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে ২৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে।
কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, আশা করা হচ্ছে এবার প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হবে। এ পর্যন্ত আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪৬ হেক্টর। এতে বিঘা প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১৮ মণ।
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক সুলতান আলী জানান, প্রতি বিঘা জমির ধান আবাদে বীজ, সার, সেচ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ মিলে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। ধান শুকিয়ে সেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে। একই কথা বলেন উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের, সরাফত আলী।
উপজেলার খাতামধুপুর ও কাশিরাম ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, আশ্বিন-কার্তিক মাসে আমাদের এলাকায় অভাব থাকে। তবে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কারণে সেই অভাব এখন আর নেই। শ্রমিকদের হাতেও কাজ আছে।
ধানের দাম না পাওয়ার কথা স্বীকার করে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল বলেন, কৃষকদের শাক-সবজি অন্যান্য ফসল আবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। শাক-সবজি ও আগাম জাতের শীতের ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন বোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, বেংমারী, ঢেলাপীর এলাকার কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ