জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় কোনো কোনো চাষি এখন সবজির জন্য জমি তৈরি করছেন। চরাঞ্চলের মরিচ ও উচ্চ ফলনশীল টমেটো ফলন দেবে একমাসের মধ্যেই।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০১০ হেক্টর জমিতে। গত এক মাসে জেলার ৮ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১শ’ হেক্টর। এর মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৯১০ হেক্টর, সদর উপজেলায় আবাদ হেয়েছে ৯০০ হেক্টর। সবচাইতে কম আবাদ হয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর। আর বাকি উপজেলায় আবাদের প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকরা শীতকালীন সবজির জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। আবার অনেকের সবজি বড় হয়ে গেছে এবং বিক্রিও শুরু করেছেন। অধিকাংশ জমিতে লাল শাক, মুলার শাক, ধনিয়া পাতা, খিরাই, কুমড়া, লাউ, পুঁই শাক, টমেটোর আবাদ হয়েছে। তবে মেঘনা পাড়ের জমিতে বেশিরভাগ কৃষক খিরাই আবাদ করেন। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলায় খিরাই আবাদের জন্য জনপ্রিয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এক মাস আগেই তার জমিতে লাল শাক, মুলার শাক ও ধনিয়া পাতার আবাদ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বাজারে কয়েকবার বিক্রিও করছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে তার মুলা শাকের কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় এখন আবার আবাদ করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর খান জানান, মেঘনা পাড়ের কৃষকরা পলি মাটির কারণে বেশিরভাগ জমিতে খিরাই আবাদ করেন। এ খিরাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আড়তেও বিক্রি করেন তারা। প্রত্যেক কৃষক প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার খিরাই বিক্রি করেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর জেলায় শীতকালীন সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার প্রায় অর্ধেক আবাদ শেষ হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাজারে স্থানীয় সবজি পুরোপুরি আমদানি শুরু হবে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকলে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
আরএ