কৃষকরা জানান, হারভেস্টার মেশিন দিয়ে শুধু ধান কাটা নয়, একই সঙ্গে মাড়াই, পরিষ্কার ও সংগ্রহ করা যায়। শহরের মতো কৃষির আধুনিকতা এখন গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সনাতন পদ্ধতিতে ধান কেটে কৃষকদের ধান উৎপাদনে তেমন বেশি লাভ হতো না। খরচ পুষিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হতো। কারণ ধানের কাটার মজুরি খরচ, বাজার দর ও উৎপাদনের উপর নির্ভর করতো লাভ কেমন হবে। কিন্তু দিন বদল হয়েছে। এখন কৃষি ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন ভোলার দ্বীপের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে ধান কাটার আধুনিকতা।
জমিচাষে গরুর বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর আর ধান কাটতে ব্যবহৃত হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার। বিভিন্ন সময়ে কৃষকরা ধান কাটার সময় পড়তে হতো শ্রমিক সমস্যায়। খবচও হতো অধিক টাকা। পড়তে হতো লোকসানে। এখন সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগছে কৃষকের, ফলে একই জমিতে খুব সহজেই অন্য ফসল করা যায়।
কৃষক আলাউদ্দিন, জামাল ও আবুল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আগে আমাদের ধান কাটতে হতো শ্রমিক দিয়ে। তারা কাচি দিয়ে ধান কাটতো। অনেক সময় ধান কাটার শ্রমিকের সংকট দেখা দিতো। সনাতন পদ্ধতিতে একর প্রতি ধান কাটায় খরচ হতো ১২ হাজার টাকা কিন্তু হারভেস্টার মেশিন দিয়ে খরচ হচ্ছে ছয় হাজার টাকা।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা স্থানীয় সেবা দানকারীর মাধ্যমে কৃষকদের এ ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ বাংলানিউজকে বলেন, ধান কাটার মৌসুম এলে অনকে সময় শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়। তাছাড়া ধান কাটার খরচও অনেক বেশি। কৃষকরা ধান বিক্রি করতে গিয়ে তেমন লাভবান হতে পারেন না। কিন্তু আমরা যদি উৎপাদন খচর কমিয়ে আনতে পারি তাহেল তারা উপকৃত হবে। বিষয়টি মাথায় রেখেই কৃষকদের কথা বিবেচনা করেই এ মেশিনটি গ্রামাঞ্চলে দেওয়া হয়েছে।
ভোলা সদর কৃষি অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের জন্য সুফল বয়ে আনছে। কারণ এতে সময় এবং অর্থ দুটো কম লাগছে। আস্তে আস্তে সব এলাকায় মেশিনটি ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা উপকৃত হবে। এতে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আধুনিক এ মেশিনটি প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এনটি