সোমবার (১৬ মার্চ) বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপদ ঘুরে খরিফ-১ মৌসুমের সবজি নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততার এমন চিত্র লক্ষ করা যায়।
এবার শীতকালীন সবজি বিক্রিতে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর, শাজাহানপুর, নন্দগ্রাম, ধুনট, শেরপুর, গাবতলী ও শিবগঞ্জ উপজেলার চাষিরা রকমারি সবজি চাষে এগিয়ে রয়েছেন। এরমধ্যে শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলার চাষিরা সবজির পাশাপাশি সবজি বীজতলা করে থাকেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে নানা জাতের সবজির চারা দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী ও চাষিরা কিনে থাকেন। এরই মাঝে জেলার অনেক চাষি খরিফ-১ মৌসুমের আগাম জাতের সবজি লাগিয়েছেন। যার মধ্যে বেগুন, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, করলা, মূলা অন্যতম। এসব সবজির খেত পরিচর্যায় দেখা গেলো বেশ কয়েকজন চাষিকে। কিছু কিছু সবজি গাছে ফুল এসেছে। আবার কিছু গাছ মরে যাওয়ায় অনেক কৃষক সবজি টাল ঘুরে-ঘুরে নষ্ট হওয়া গাছগুলো উঠিয়ে ফেলছেন। আর ভালো গাছগুলো টালের ওপর সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখছেন।
স্থানীয় কৃষক আনছার আলী, জোব্বার মন্ডল, করিম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, রবি মৌসুমের বেশ কিছু সবজি এখনো খেতে রয়েছে। এর মধ্যে সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি অন্যতম। অল্প সময়ের মধ্যে এসব সবজি বিদায় নেবে। অনেক চাষি ইতোমধ্যেই এসব সবজির টাল ভেঙে নতুন মৌসুমের সবজি চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। রবি মৌসুমের প্রায় পুরো সময়টা আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। বাজারে সবজির দামও ছিল ভালো। সবমিলিয়ে সবজি চাষ করে রবি মৌসুমে বেশ লাভ হয়েছে। তাই খরিফ-১ মৌসুম শুরুর আগেই আগাম জাতের সবজি চাষে মাঠে নেমেছি আমরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মূলত মার্চের ১৬ তারিখ থেকে খরিফ-১ মৌসুম শুরু হয়। বেগুন, মূলা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিঙা, পটল, করলা, ঝিঙা, বরবটি, ঢেঁড়স, সজনে, লালশাক এ মৌসুমের অন্যতম সবজি।
তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোয় বেশ আগ থেকেই আগামভাবে সীমিত আকারে এ মৌসুমের অনেক সবজি চাষ করেছেন চাষিরা। রবি মৌসুমে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার কারণে চাষিরা সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এইচএডি/