পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পাবনা জেলার ৪৯ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলায়।
পাবনার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল এলাকার কৃষক লিটন বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এখন ভরা মৌসুম ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলার সময় হয়ে গেছে। বর্তমানে পেয়াঁজের বাজার মোটামুটি ভালো। বৃষ্টি হলে এ পেঁয়াজ ঘরে রাখা যাবে না, দামও কম হবে। তাই করোনার ভয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। ফসল ঘরে তোলার পরে করোনা নিয়ে ভাবা যাবে। তবে কাজের সময় সর্তকতা নিয়ে কাজ করছি।
সরজমিনে সুজানগর উপজেলা বেশকিছু গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্য ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পেঁয়াজ তুলছেন। তারা মাস্ক কিংবা গ্লাভস ছাড়াই এক সঙ্গে কাজ করছেন। মাঠেই খাওয়া-দাওয়া সারছেন সাবান ছাড়াই হাত ধুয়ে। শুধু পেঁয়াজ তোলার কাজ নয়- রসুন, গম ও ধানের জমিতেও দলবেধে কৃষি শ্রমিকদের কাজ করছেন।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) উপ-পরিচালক মো. আজহার আলী জানান, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে করোনা সংক্রান্ত ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এবারে এই অঞ্চলের কৃষকেরা পেঁয়াজের দাম বেশ ভালো পেয়েছে। বর্তমানেও পেয়াঁজের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এনটি