স্বল্পমূল্যে কৃষকদের কাছে উন্নতমানের কেরুজ জৈব সার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রক্ষিতে এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ‘সোনার দানা’ ব্যাপকহারে উৎপাদন ও বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (৫ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মার্চে প্রথমবারের মতো অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জৈব সার তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ২০১২ সালে জৈব সার কারখানাটি স্থাপিত হয়। চিনি কারখানার আখের বর্জ্য হিসেবে প্রাপ্ত ফিল্টার মাড, প্রেসমাড ও ডিস্টিলারি ইফ্লুয়েন্ট স্পেন্টওয়াস থেকে জৈব সার ‘সোনার দানা’ তৈরি করায় এ জৈবসার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন। বর্তমানে জৈব সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৭ হাজার মেট্রিক টন। জৈব সার ‘সোনার দানা’ ১ কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশের সর্বত্র এ সার পৌঁছাতে ইতোমধ্যে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।
জৈব সার ‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে কৃষি জমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫/৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। সেসঙ্গে ফসলের রোগবালাই কমায় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার ও উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী বলেন, এখন বাজারে প্রাপ্ত জৈব সার অধিকাংশ নিম্নমানের ও ভেজাল হওয়ার কারণে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তারা কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, জৈব সার ‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে ফসলের কাণ্ড, পাতা ও ফল পরিপুষ্ট হয়। এ সার ফলের মিষ্টতা-রং বাড়ায় এবং গুদাম জাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা বাড়ায়।
চিনি ও ডিস্টিলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
জিসিজি/এএটি